বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:১১ অপরাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
রিপন কান্তি গুণ, নেত্রকোনা :
নেত্রকোনা-মোহনগঞ্জ মহাসড়কের বারহাট্টা উপজেলার সদর এলাকায় সড়কের পাশে দাড়িয়ে থাকা ট্রাকের সাথে মোটর সাইকেলের ধাক্কায় অসিম সরকার (২০) নামের এক কিশোর নিহত হয়ছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আনুমানিক ১টার দিকে নেত্রকোনা-মোহনগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের বারহাট্টা উপজেলা সদর এলাকার শহীদমিনারের সামনের সড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
ঘটনাস্থলে নিহত অসীম সরকার (২০) উপজেলার গড়মা গ্রামের সুবল সরকারের ছেলে। এই দূর্ঘটনায় আহত অপর আরোহী উপজেলার আসমা গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে রেহান মিয়া (১৫)। বারহাট্টা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোকন কুমার সাহা শুক্রবার দুপুরে এই তথ্য নিশ্চিত করেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, অসীম সরকার ও রেহান মিয়া দু’জনেই গোপালপুর পশ্চিম বাজারে একটি মোটরসাইকেল গ্যারেজে মোটর মেকানিকের কাজ করতো। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে বরাবরের মতো কাজ শেষে একসাথে কাজ করা গ্যারেজের সঙ্গীকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার জন্য দুইজন মোটর সাইকেলে করে পূর্ব বাজারের দিকে যাওয়ার পথে বারহাট্টা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে শহীদমিনারের সামনের সড়কে পৌঁছার পর অসাবধানতা বশত, রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকের সাথে মোটর সাইকেলটির ধাক্কা লাগে। মোটরসাইকেলটির গতি বেশী থাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকের সাথে ধাক্কা লেগে চালক অসীম ও আরোহী দু’জনই ছিটকে পড়ে মারাত্নক আহত হয়। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে বারহাট্টা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক অসিম সরকারকে মৃত ঘোষনা করে এবং আহত রেহানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসপাতাল (মমেক) এ প্রেরণ করেন। নিহত অসীমের বাবা সুবল সরকারের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমার পরিবারের একমাত্র উপার্জনশীল ব্যাক্তিই ছিল আমার ছেলে। আমি চা দোকানের ব্যবসা করি। আমি ও আমার ছেলে দু’জন মিলে সংসার চালাতাম। তিনি আরও বলেন, গতকাল কাজ থেকে আসীমের বাড়ি ফিরতে রাত বেশি হচ্ছিল। তাই আমি অসীমকে আনতে গ্যারেজে গিয়েছিলাম, অসীম আমাকে গ্যারেজে বসিয়ে রেখে তার সঙ্গীকে বাড়ি পৌঁছে দিতে গিয়েছিল। যাওয়ার পথেই ট্রাকের ধাক্কায় আমার ছেলে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। খবর পেয়ে আমি গ্যারেজ মালিককে নিয়ে হাসপাতালে ছুটে যাই। গিয়ে দেখি আমার ছেলের মৃতদেহ হাসপাতালের বেডে পড়ে আছে।
বারহাট্টা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোকন কুমার সাহা বলেন, নিহতের পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই তার পরিবারের হাতে লাশ তুলে দেওয়া হয়েছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেককারো বিরুদ্ধে কোন রকম লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায় নাই।